কেন আপনি পারছেন না, কেন আপনাকে দিয়ে হচ্ছে না? - "সফলতার অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী ৭টি টিপস"
কেন আপনি পারছেন না, কেন আপনাকে দিয়ে হচ্ছে না?
আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে। যা নিয়মিত ফলো করলে আপনিও হতে পারেন একজন সফল মানুষ। সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষদের কাতারে সামিল হওয়ার জন্য এই গুটিকয়েক কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলো নিয়মিত অভ্যস্ত করার ফলে আপনি ও হয়ে যেতে পারেন একজন আদর্শ ব্যাক্তিত্ব। তাই দেরি না চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কাঙ্ক্ষিত টিপসগুলো সম্বন্ধে।
১. ইনভেস্ট ফার্স্ট
মুরগি ২১দিন বসে বসে ডিমে তা দেয় বলেই ২১ দিন পরে খোসা ভেঙ্গে ছানা বেরিয়ে আসে। আপনিও যদি আপনার ভিতর থেকে একজন প্রোগ্রামার, একজন গায়ক, একজন বিসিএস ক্যাডার, একজন বিজনেসম্যানকে বের করতে চান, তাহলে সেজন্য ইনভেস্ট আগে করতে হবে। যত বড় বড় পদে বসতে চান তত বেশি বেশি ইনভেস্ট করার চেষ্টা করতে হবে।
২. সেলফ কন্ট্রোল
জীবনকে লাইনে রাখতে হলে তিনটা জিনিসের উপরের কন্ট্রোল রাখতে হবে। এক, টাইমের উপরে কন্ট্রোল। দুই, ইমোশনের উপরে কন্ট্রোল। তিন, আউটপুটের উপরে কন্ট্রোল। আপনার এই তিনটা কন্ট্রোল পয়েন্টে আপনার চাইতে অন্যদের কন্ট্রোল যত বেশি হবে, আপনার লাইফ তত বেশি দুর্বিষহ হবে।
৩.এপ্লাইড নলেজ
আপনার মাথায় আইডিয়া গিজগিজ করতে পারে, বুদ্ধির সাগর - বিদ্যার জাহাজ থাকতে পারে। তাই দেরি না করে ডেইলি দুইবেলা বিচক্ষণদের কাছ থেকে সাজেশন নিতে পারেন। কিন্তু সেগুলা এপ্লাই না করলে, কাজে না লাগালে- কোনো ফলও নাই। বরং আপনার চাইতেও কম বুদ্ধিমান, কম স্মার্টরাই তাদের আইডিয়া এপ্লাই করে করে আপনার চাইতে আরো বেশি এগিয়ে যাবে। সো, নলেজ ইজ নট পাওয়ার। এপ্লাইড নলেজ ইজ পাওয়ার।
৪. পজিটিভ থিংকিং
দুনিয়া বহুত খারাপ জায়গা। এখানে মানুষ আপনার মুখের খাবার কেড়ে নিবে। আপনি যেটা ডিজার্ভ করেন সেটাই অন্যকে দিয়ে দিবে। অন্যের দোষ আপনার ঘাড়ে এসে পড়বে। যাকে সবকিছু উজাড় করে ভালোবাসবেন সেই হয়তো বাম্বু দিবে। তারপরেও আপনাকে আপনার লাইফে পজিটিভিটির ফুয়েল ঢালতে হবে। পানি থেকে উঠে হাঁস যেভাবে ঝাড়া দিয়ে সব পানি ফেলে দেয় সেভাবে আপনার হতাশা, ব্যর্থতাগুলো ঝেঁড়ে নতুন উদ্যমে, নতুন টার্গেটে, নতুন মিশনে নামতে হবে।
৫. ডিসিপ্লিন
স্কুলে, কলেজ, ভার্সিটি যান - ডিসিপ্লিন। অফিসে যান - ডিসিপ্লিন। ব্যাংকে টাকা উঠাতে যান - সেখানেও ডিসিপ্লিন। এমনকি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে ওই জায়গাতেও - ডিসিপ্লিন। এইবার নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার লাইফে আপনি কতোটা ডিসিপ্লিন মেইন্টেইন করেন?
ডিসিপ্লিন ছাড়া আপনার টাইমের উপরে কন্ট্রোল আসবে না। ইফেক্টিভ হ্যাবিট ডেভেলপ হবে না। স্কিল ডেভেলপ করা শুরু করলে বেশি দিন লেগে থাকতে হবে না। তাই সারাদিন ডিসিপ্লিন মেইন্টেইন না করতে পারলেও সকালের সময়টা বা সন্ধ্যার পরের সময়টা অন্তত ডিসিপ্লিন মেইন্টেইন করার চেষ্টা করুন। দেখবেন একটু একটু করে ভালো আউটপুট আসা শুরু হয়ে গেছে।
৬. ক্যাল্কুলেটেড রিস্ক
নো পেইন নো গেইন। নো রিস্ক নো গ্লোরি। তবে এই রিস্ক আন্দাজে ধুমধাম চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার রিস্ক না। বরং অন্যরা যারা এই টাইপের কাজ করেছে তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে, নিজে একটু চেখে দেখে বা অন্যদের করতে দেখে তারপর ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে হবে। নামার পরে কি হবে সেই গ্যারান্টি নিয়ে দুনিয়ার কেউ বলতে পারবে না। তবে ক্যাল্কুলেটেড রিস্ক নিয়ে, স্ট্রাটেজি ডেভেলপ করে, দুই-চারটা ব্যর্থতার পরেও লেগে থাকতে পারলে অনেক খারাপ অবস্থা থেকেও অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব।
৭. কিউরিসিটি
পাঁচ বছর আগে যে সিস্টেমে কাজ হতো, এখন সে সিস্টেমে কাজ হবে না; এখন যে সিস্টেমে কাজ হয় পাঁচ বছর পরে সেই সিস্টেমে কাজ হবে না। সো, আপনাকে নিত্য নতুন জিনিস সম্পর্কে কিউরিয়াস হতে হবে। চেখে দেখতে হবে, সেটার ভিতরে কি আছে জানার চেষ্টা করতে হবে; সেটা কিভাবে আপনার লাইফে কাজে লাগবে সেটা বুঝার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় শুধু কৌতূহল বশত একটা কিছু শিখলে পাঁচ বছর পরে দেখবেন সেটাই কোন না কোন ভাবে আপনার জীবনে কাজে লেগে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই
Thanks for your valuable comments...