রাগ নিয়ন্ত্রণের - "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ১০টি পদ্ধতি"
রাগ নিয়ন্ত্রণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর - "১০টি পদ্ধতি" |
রাগ নিয়ন্ত্রণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর - "১০টি পদ্ধতি"
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে আপনার রাগের পরিমাণ:
● কথা বলার আগে ভাবুন এবং কথা ধীরস্থিরভাবে বলুন। ভেবে কথা বলুন, বলে ভাববেন না। আমরা রাগের মাথায় এমন কিছু কথা বলে ফেলি যা আদৌ আমরা বলতে চাই না। কিন্তু রাগের উত্তেজনায় আমরা এমন কিছু বলে ফেলি, যার জন্য পরে অনুশোচনায় ভুগতে হয়।
● প্রত্যেকের রাগ হওয়ার কিছু কারণ থাকে। কিন্তু সেই কারণ ব্যক্ত করার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করুন। রাগের মাথায় অধৈর্য হয়ে কিছু বলে অন্যদিকের মানুষকে দুঃখ দেবেন না। মাথা ঠান্ডা হলে আলোচনা করুন।
● যদি বুঝতে পারেন যে কোনো একটি বিষয়ে আপনার রাগ হচ্ছে, তবে সঙ্গে সঙ্গে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে রাগ অনেকটাই কমে আসবে। কারণ, গভীর শ্বাস নিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মাথায় অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াবে। এতে আবার আপনার শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। ফলে আপনি একটু চাঙ্গা বোধ করবেন। তারপর মাথা ঠান্ডা হলে বিষয়গুলোকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবেন।
● পরিবারের কারও উপর রাগ হলে তার সামনে থেকে নির্জনে সরে যান। অনেকেই প্রিয়জনদের উপরে নিজেদের রাগ ঝেড়ে থাকেন। পরে অবশ্য নিজেরাই তা নিয়ে আক্ষেপ করেন। এই অভ্যাস বাদ দিন। নিজের রাগের সঙ্গে নিজেই বোঝাপড়া করুন। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হবে না।
● কর্মব্যস্ততার ফাঁকেও অবসর সময় ম্যানেজ করে রিফ্রেশমেন্টে যান। সারাদিন কাজের চাপে স্ট্রেস জমতে থাকে। এটা হতে দেবেন না। এতে সহজে রেগে যাওয়ার প্রবণতা হয়। রোজ নিয়ম করে নিজের জন্য অন্তত ১৫ মিনিট সময় রাখুন। এই ১৫ মিনিট নিজের সবচেয়ে ভালো লাগার কাজটি করুন।
● সমস্যা ও সংকটে বিচলিত, রাগান্বিত না হয়ে সমাধান খুঁজুন। নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনাগুলোকে ত্যাগ করে নিজের মাঝে পজেটিভনেস নিয়ে আসুন। যে কারণেই মাথা গরম হোক, রাগের মুহূর্তে সেই কারণ নিয়ে ভাববেন না। বরং সেই সময়ে ভাবুন কীভাবে নিজের রাগ কমাবেন। রাগের সময়ে বুদ্ধি লোপ পেতে দেবেন না।
● বেশী রাগ উঠে গেলে শীতল পানিতে ঘাড়, মাথা, মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাথা যত অস্থির হবে, রাগ তত বেশি হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। নিজের ধৈর্য ও গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়ান।
● নিজের রাগে অন্যকে জড়িয়ে সমস্যা চরমে নিয়ে যাওয়ার মতো বোকামী করবেন না। রাগের সময়ে অনেকেই আবেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু লিখে ফেলেন। ফোন করে মন্দ কথা শোনান। তাই রাগের সময়ে অবশ্যই মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন ।
● রাগের মাত্রা যদি আরও বেড়ে যায় তবে শুধু মুখ নয়, চোখ আর কানও বন্ধ করে ফেলুন। অদ্ভুত শোনালেও এই পদ্ধতিটি কিন্তু সত্যিই কার্যকর। যে আপনাকে রাগিয়ে দিচ্ছে বা যা নিয়ে আপনি রেগে যাচ্ছেন, কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে সেখান থেকে পুরোপুরি ব্লাক আউট করে ফেলুন। যেন আপনি সেখানে থেকেও নেই। কিছুক্ষণ পর দেখবেন এমনিই আপনার মাথা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।
● রাগ সবার হয়। কিন্তু সেই রাগ যেন আপনার মাথায় চেপে না বসে সে দিকে খেয়াল রাখুন। সর্বোপরি রাগ দেখানোর আগে পরিণতি কী হবে, সেটির বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন।
উল্লিখিত উপায়গুলো পর্যায়ক্রমে ট্রাই করুন। কিছু দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন কোন উপায়টি আপনার জন্য বেশি কার্যকরি।
ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই
Thanks for your valuable comments...